ভারতের রাজস্থানের রাজসামান্দ এলাকায় স্বজনরা ভেবেছিলেন মারা গেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও পরিবারের কাছে সেই পরিচয়েই লাশ হস্তান্তর করে। তবে সৎকারের এক সপ্তাহ পর বাসায় ফিরেন ওমকার লাল গদুলিয়া নামে এক ব্যাক্তি। এতে সবাই চমকে উঠেন। খবর এনডিটিভির।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) রাজস্থানের রাজসামান্দে আর কে সরকারি হাসপাতালে মারা যাওয়া একজনের লাশ নিয়ে এমন কাণ্ড ঘটেছে। ৪০ বছর বয়সী ওমকার লাল গদুলিয়ার বলে যে মরদেহটি পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়, সেটি ছিল আসলে ছিলো গোবর্ধন প্রজাপত নামে আরেকজন ব্যক্তির। দুজনেই চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই হাসপাতালে।
পুলিশ জানায়, গদুলিয়া মদ্যপানে আসক্ত ছিলেন। গত ১১ মে পরিবারকে না জানিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যান। পরবর্তীতে লিভারজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি হন। অন্যদিকে তার পরিবার লকডাউনে ঘরে অবস্থান করছিলেন। একইদিন গোবর্ধন প্রজাপত নামে আরেক ব্যক্তিও ভর্তি হন হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা যোগেন্দ্র ভায়াস বলেন, মর্গে তিন দিন ধরে অজ্ঞাত পরিচয় একটি মরদেহ পড়ে আছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের চিঠি দিয়ে জানায়। তখন তারা ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে তার ছবি ছড়িয়ে দেন। পরে পরিবার এসে হাতে দাগ দেখে ভুল করে গোবর্ধনকেই গদুলিয়া হিসেবে শনাক্ত করে।
গত ১৫ মে ওই মরদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে গদুলিয়ার পরিবার। এক সপ্তাহ পর ২৩ মে গদুলিয়া ঘরে ফিরে আসলে তাজ্জব বনে যান সবাই। পরবর্তীতে পুলিশের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, দাহ করা মরদেহটি হচ্ছে গোবর্ধনের।
এখানে পুলিশের কোনো ভুল নেই। কারণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরদেহটি অজ্ঞাতনামা হিসেবে ঘোষণা করেছিল বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা ভায়াস।