গত কয়েকদিন ধরেই চলছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ। ইসরায়েলের এই ‘ঘৃণ্য পদক্ষেপ’ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত বলে একমত হয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা স্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন উল্লেখ করে তাদের এমন ‘বর্বর’ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার।
শুক্রবার (১৪ মে) দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রস্তাবসমূহের (ইউএনএসসি) ৪৪৬ (১৯৭৯) এবং ২৩৩৪ (২০১৬) সঙ্গে একেবারেই যায় না, যেখানে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান এবং ‘ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা’ রক্ষার ব্যাপারে স্পষ্টভাবে আহ্বান জানানো হয়েছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের জন্য আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা এবং পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারারাহতে ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িঘর থেকে বেআইনিভাবে উচ্ছেদের নিন্দা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে ইসরায়েলকে ‘ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলা বন্ধ করা এবং একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় নিজেকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়, যা একটি কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিকে পরিচালিত করবে।’
গত সোমবার (১০ মে) থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ আজও চলছে এবং গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ১৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪০টি শিশু রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৯৫০ জন। শনিবারও ফিলিস্তিনে বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। হামলা থেকে বাঁচতে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ফিলিস্তিনি বাড়ি-ঘর ছেড়েছে।
আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের জন্য বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। তবে ইহুদিরা জায়গাটিকে তাদের নিজেদের উপাসনালয় হিসেবে দাবি করে। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েলের যুদ্ধের সময় পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েল। এরপর ১৯৮০ সালে পুরো জেরুজালেম তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। যা এখনও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে স্বীকৃতি পায়নি।