দিনকে দিন ঝুকিপূর্ণ হচ্ছে ময়মনসিংহের ভালুকা পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের স্ট্রীলের তৈরি উড়াল সেতুটি। সিঁড়ির রেলিংয়ের নাট ঢিলে হওয়া ও পাটাতন জ্বালাই ছেড়ে দেওয়ায় পথচারিদের চলাচলের সময় খট খট শব্দে আতঙ্ক তৈরি হয়। ফলে দিন দিন ওই সেতুটি দিয়ে চলাচলে অনিহা বাড়ছে পথচারিদের। মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেঁটে মহাসড়ক পার হচ্ছেন । বড় কোনো দূর্ঘটনা ঘটার আগেই সেতুটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্ট্রীলের তৈরি সেতুটি বর্তমানে সিঁড়ির রেলিংয়ের নাট ঢিলে হয়ে গেছে এবং অনেক স্থানে পাটাতনের ঝালাই ছেড়ে দিয়েছে। এর ফলে পথচারিরা সিঁড়ি বেয়ে উঠার সময় রেলিং ও পাটাতন নড়াচড়া এবং খটখট শব্দ করে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে চলাচলকারিরা। এ সমস্যার কারণে দূর্ঘটনার ঝুঁকি জেনেও মহাসড়কে পায়ে হেঁটে চলাচল করছে মানুষ। গত কয়েক মাস পূর্বে মহাসড়কের ব্যারিকেড ওয়াল ডিঙিয়ে পার হওয়ার সময় গফরগাঁও এলাকার এক যুবক নিহত হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পথচারি জানান, সিঁড়ি ও পাটাতনের সমস্যা তো আছেই, দীর্ঘদিন ধরে উড়াল সেতুটির বিভিন্ন স্থান দখল করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে মাইকিং করে টাকা আদায় করা হয়। ভিক্ষুকরা তো আছেই। এদের কারণে পথচারিরা ঠিকমত চলাচল করতে পারেনা। আগে বিদ্যুতের ব্যবস্থা ছিল না। দিনকে দিন ওভারব্রীজের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষ এটিতে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করে। তবে লোডশেডিংয়ের সময় দূর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে অনেকটা।
ভালুকা মডেল প্রেসক্লাবের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ রহমান বলেন, দিন দিন ব্রীজটির অবস্থা খারাপ হচ্ছে। আমি নিজে যখন ব্রীজটি দিয়ে পার হই তখন ভীষন ভয় লাগে। সিঁড়ির রেলিং ও পাটাতন দুটোরই অবস্থা খারাপ। আগামী বর্ষা মৌসুমে ব্রীজটিতে চলাচল করা বিপদজনক হয়ে উঠবে।