পটুয়াখালী সদর ও মহিপুরে অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৬ সদস্যকে আটক এবং ৪ টি চোরাইকৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করেন পটুয়াখালী জেলা পুলিশ,
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পিপিএম মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মুকিত হাসান খাঁন এর নেতৃত্বে পটুয়াখালী সদর থানা ও মহিপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এবং তাদের কাছ থেকে চোরাইকৃত ৪ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। জনৈক মো: হুমায়ুন কবির পিতা: মো: ছিদ্দিক মিয়া, সাং: কাশেমাবাদ, থানা: গৌরনদী জেলা: বরিশাল এর সাথে বরিশালের বৌদ্ধপাড়ার বাসিন্দা হিসেবে জনৈক রাকিবের সাথে গত ৫ই মে পরিচয় হয় । সেই সূত্রে তাদের সাথে সখ্যতা তৈরী হয় ।
বন্ধুত্বের অভিনয় করে রাকিব হুমায়ুনের মোটরসাইকেল (রেজি: নম্বর: বরিশাল -ল- ১১-৫৫৬৫) নিয়ে হুমায়ুনকে সাথে নিয়ে গত ৯ই মে পটুয়াখালীত বেড়াতে আসেন । রাকিব পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক তার সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোর চক্রের অন্যান্য সদস্য রাসেল@ দুলু (২৮) পিতা: হানিফ হাওলাদার সাং: খাজুরা, মহিপুর সহ সকলকে পটুয়াখালীতে আরেক সদস্য হালিম মুন্সীর ছোট চৌরাস্তার ভাড়া বাসায় আসতে বলেন ।
রাসেলসহ চোর চক্রের সদস্যরা পটুয়াখালীতে এসে তার মামা হালিম মুন্সী (৪৫) পিতা: মৃত আজিজ মুন্সী সাং: খাজুরা এর পটুয়াখালীর ছোট চৌরাস্তার বাসায় অবস্থান করে। গত ৯ই মে সন্ধ্যায় হুমায়ুন তার মোটরসাইকেল ও রাকিবকে নিয়ে পটুয়াখালী পৌঁছালে রাকিব কৌশলে হুমায়ুনের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় এবং ছোট চৌরাস্তায় অবস্থিত তার চক্রের সদস্য হালিম মুন্সী, রাসেল @ দুলুর নিকট হস্তান্তর করে।
পরে তারা মোটরসাইকেলটি হালিমের পরিচিত জনৈক বাচ্চুর মধ্যস্থতায় হেতালিয়া বাধঘাটের জনৈক আলামিন শিকদারের নিকট বিক্রি করে। হালিম মুন্সী ও রাকিব পালিয়ে গেলেও পুলিশ উক্ত হালিমের ছোট চৌরাস্তার বাসায় তল্লাশী করে ঐ মোটরসাইকেল সহ আরো একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
জানা যায় আসামীরা পটুয়াখালীতে বিভিন্ন ভাড়া বাসা নিয়ে স্বল্প সময় (২ মাস) অবস্থান করে বাসা পরিবর্তন করে।আসামীদের মূল বাড়ি কুয়াকাটায় হওয়ায় মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলে তার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ রাকিব ও রাসেল @ দুলুর মহিপুর থানার গঙ্গামতি সাকিনের বাসা তল্লাশী করে তাদের বাড়ি হতে আরো ২ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
এ সময় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয় জনৈক হুমায়ুন বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামী করে পটুয়াখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং: ১৬ তারিখ: ১২/৫/২০২১ইং।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পিপিএম মহোদয়ের একান্ত প্রচেষ্টা, আন্তরিকতা ও তৎপরতায় পটুয়াখালী সদর থানা ও মহিপুর থানায় সাড়াশী অভিযান চালিয়ে এ চোর চক্রের ৬ সদস্যকে আটক এবং ৪টি চোরাইকৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।