করোনা সংক্রমণ রোধে এবার ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে রয়েছে বাড়িতি নির্দেশনা। বন্ধ রাখা হয়েছে দূরপাল্লার পরিবহন।
বিধিনিষেধে বলা হয়েছে ৩ দিনের বেশি থাকবে না ঈদের ছুটি। এমনকি ঈদে কাউকে বাড়ি না গিয়ে থাকতে বলা হয়েছে কর্মস্থলেই। তবুও কে শোনে কার কথা। গত কয়েকদিন থেকেই যে ভাবে পারছে ছুটছে গ্রামের উদ্দেশে।গতকাল শুক্রবার ফেরি পারাপারে দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক জেলার বিপুল পরিমাণ মানুষের সমাগমে সতর্ক হয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।
গতকালের এই চিত্র দেখার পরে হঠাৎ করে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিসি। তবে রাতে পারাপার করা হবে পণ্যবাহী যানবাহন।হঠাৎ করেই ফেরি চলাচল বন্ধের ঘোষণায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা শতশত যাত্রী।নদী পারের অপেক্ষায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে আটকা পড়েছে অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসসহ কয়েকশ যানবাহন।
এছাড়া আটকা পড়েছে জরুরি ও বিশেষ প্রয়োজনে ঢাকামুখী শত শত যাত্রী।শনিবার (৮ মে) সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের পন্টুন ও ঘাটের এপ্রোচ সড়কে অপেক্ষারত যাত্রী ও যানবাহনের এমন চিত্র দেখা যায়।বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সহকারী ব্যবস্থাপক খোরশেখ আলম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সকাল ৬টা থেকে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
দিনে কোনো যানবাহন বা যাত্রী পারাপার করবে না। তবে অ্যাম্বুলেন্স একসঙ্গে ৮-১০টি থাকলে ছোট ফেরি দিয়ে সেটি পার করা হবে।এছাড়া রাতে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার চালু থাকবে। ফেরি বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে যাত্রী ও ছোট যানবাহনের কিছুটা চাপ রয়েছে বলেও জানান তিনি।