পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধবিষয়ক বাংলাদেশ থেকে উত্থাপিত প্রথম রেজুলেশন জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। সে হিসেবে বিশ্ব পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস ২৫ জুলাই ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ।বুধবার (২৯ এপ্রিল) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জাতিসংঘের ৭৫ বছরের ইতিহাসে এ ধরনের রেজুলেশন এটাই প্রথম।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধবিষয়ক ঐতিহাসিক এক রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। প্রথমবারের মতো জাতিসংঘে গৃহীত এই রেজুলেশনটি উত্থাপন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। রেজুলেশনটিতে পানিতে ডুবে মৃত্যুকে একটি নীরব মহামারি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পানিতে ডুবে মৃত্যু বিশ্বের প্রতিটি জাতিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে। পাশাপাশি অগ্রহণযোগ্য উচ্চহারের এই মৃত্যু প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি কর্ম-কাঠামোও ঠিক করা হয়েছে।রেজুলেশনে বলা হয়, পানিতে ডুবে মৃত্যুর মতো প্রতিরোধযোগ্য কারণেও বিভিন্ন দেশে শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, জাতীয় পদক্ষেপকে উৎসাহিত করা ও এ বিষয়ক সর্বোত্তম সমাধানগুলো পারস্পরিকভাবে ভাগ করে নেওয়ার লক্ষ্যে ২৫ জুলাইকে বিশ্ব ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে সাধারণ পরিষদ।বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জানায়, রেজুলেশনটিতে পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধ পদক্ষেপটির সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত বৈশ্বিক কাঠামোগুলোর সংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।রেজুলেশনে আরও বলা হয়েছে, জাতিসংঘ গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বেশ কয়েকটির অর্জনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এটি তাৎপর্যপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করেছে।রেজুলেশনটির অপারেটিভ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে জাতীয় ফোকাল পয়েন্ট নিয়োগ, জাতীয় প্রতিরোধ পরিকল্পনা ও কর্মসূচি উন্নয়ন, জাতীয় পর্যায়ে আইন প্রণয়ন, সচেতনতা তৈরি করা, আন্তর্জাতিক পদক্ষেপকে সহযোগিতা করা এবং এ বিষয়ক গবেষণা ও উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে সদস্য দেশসগুলোকে উৎসাহিত করা হয়েছে।জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ২০১৮ সাল থেকে এ রেজুলেশন আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি রেজুলেশনটিতে সহ-নেতৃত্ব দেয় আয়ারল্যান্ড। আর এতে সহপৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে ৮১টি দেশ।রেজুলেশনটি উত্থাপনকালে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বৃহত্তর বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্যে একটি জাতিসংঘ রেজুলেশন গ্রহণের তাগিদ অনুভব করেছিল বাংলাদেশ। আর সে কারণেই এই প্রচেষ্টায়