প্রতিবেশী দেশে থেকে গাঁজা কিনে তা বিশেষ কায়দায় সংরক্ষণ করছে কুমিল্লার এক মাদক কারবারি। গাঁজা সংরক্ষণ করতে বাংকারও তৈরি করা হয়। প্রতিবেশী দেশে গাঁজার বাম্পার ফলন হলে সেখান থেকে সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক কারবারিরা কিনে তা বিশেষ কায়দায় সংরক্ষণ করে। রাজধানী থেকে ১১৫ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক কারবারিকে আটকের পর জানা গেছে এসব তথ্য।
কাঁচা গাঁজা শুকানো ও সংরক্ষণের এই পদ্ধতির প্রবর্তক কুমিল্লার এক মাদক কারবারি। প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর পলিথিনের আবরণ দিয়ে বিশেষ উপায়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে গাঁজা। গাঁজা সংরক্ষণে তৈরি করা হয়েছে বাংকারও । সেখানে রাখা হয়েছে বস্তায় বস্তায় গাঁজা। উদ্দেশ্য দুটি কাঁচা গাঁজা শুকানো এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেওয়া।
সম্প্রতি রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে ১১৫ কেজি গাঁজাসহ আটক করা হয় এক মাদক কারবারিকে। তার মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও উদ্ধারের পর গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে এসব তথ্য।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (লালবাগ) উপকমিশনার রাজীব আল মাসুদ বলেন, বাংলাদেশে যে সমস্ত মাদক রয়েছে। এগুলো সবগুলো দেশের বাইরে উৎপাদিত হয়। দেশে কোনটা উৎপাদিত হয় না। আমরা জানতে সীমান্তবর্তী থেকে এখন গাঁজা সবচেয়ে বেশি আসছে। এবং কুমিল্লায় সংরক্ষণ করেন। এরপর ঢাকা শহরে পাঠিয়ে দেন।
শুধু মাদক ব্যবসা নয়, চোরাইপথে বিভিন্ন পণ্য পাশের দেশ থেকে বাংলাদেশে এনেও বিক্রি করে চক্রটি।