ডাকাতি মামলার আসামি হারুন অর রশীদ কোর্টে হাজিরা দিতে এসে সুকৌশলে হাতকড়া খুলে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনাটি ঘটে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সিএমএম কোর্টে। এ ঘটনায় ৮ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু পালিয়ে গিয়েও হারুনের শেষ রক্ষা হয়নি। পালানোর ৮ দিন পর গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গাজীপুরের একটি বনের ভেতর থেকে গ্রেফতার করে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ডাকাতি মামলার হাজিরা দিতে তাকে নিয়ে আসা হয় সিএমএম কোর্টে। কোর্টে আনার সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হাতকড়া লাগানোর সময় সুকৌশলে হাতটি বাকা করে হ্যান্ডকাফ লুস করে রাখেন। প্রিজন ভ্যান থেকে কারাগারে নেয়ার সময় হাতকড়া খুলে দায়িত্বরত পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ৮ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ। পালিয়ে গিয়ে সুমন গাজীপুরের কালিয়াকৈরের গহিন বনের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে কাটে ৭ দিন। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তার অবস্থান জানতে সক্ষম হয়। আবারও হাতকড়া পড়ে সুমনের হাতে।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানান, প্রিজন ভ্যান থেকে পালানোর পরিকল্পনা হয় জেলে বসেই।
আসামি হারুণ অর রশীদ বলেন, জেলখানায় খুব কষ্ট হতো। জেলখানায় বসে একটা প্ল্যানিং করি কেমনে পালানো যায়। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী কোর্টে হাজিরার অপেক্ষায় ছিলাম। আমার একটা ডাকাতি মামলায় কোর্টে হাজিরা পড়ে। ওই দিনই চিন্তা করি, যা আছে কপালে ভাইগা যামু।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার রাজীব আল মাসুদ বলেন, হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে আমরা ৮টি মামলা পেয়েছি। তার মধ্যে খুন, দস্যুতা, মাদক মামলা এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা পেয়েছি। সে গ্রেফতার হয়েছে একটি ডাকাতি মামলায়। আমরা তার গ্যাংয়ের তথ্যও পেয়েছি। এর আগেও একবার ভ্যান থেকে পালানোর পরিকল্পনা করেন আসামি সুমন। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।