তৎকালীন পাকিস্তানের ৫৬ ভাগ মানুষের মুখের ভাষা বাংলাকে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর থেকেই উপেক্ষা করতে থাকে শাসকগোষ্ঠী। সে সময়ের তরুণ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই উপেক্ষা বুঝতে পেরেই, ১৯৪৮ সাল থেকেই অনড় ছিলেন বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে।
ছিলেন সর্বদলীয় ভাষা পরিষদের সব আন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারিতে। ১৯৫২ সালে কারাগারে থেকে বাইরের আন্দোলন সংগ্রামে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছিলেন এই মহান নেতা। পাঠ্যপুস্তকে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান তুলে ধরা জরুরী- এমন মত বিশিষ্ট জনদের।
স্কুল জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোচ্চার ছিলেন সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে। যৌবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়গুলো তিনি কাটিয়েছেন অন্ধকার কারাগারে। দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নিবেদিত প্রাণ বঙ্গবন্ধু, সোচ্চার ছিলেন ভাষা আন্দোলনেও।
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সর্বদলীয় ভাষা পরিষদ গঠিত হলে, তাতে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু।
বঙ্গবন্ধুর ভাষা আন্দোলনের সে সব ইতিহাস আড়ালে ছিল দীর্ঘসময়। ১৯৪৮ সাল থেকে ৫২ তে এসে কিভাবে পূর্ণতা পেল এ আন্দোলন- তার পেছনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা কি তা এখন তুলে ধরার সময় এসেছে- মত রাজনীতিবিদদের।
মাতৃভাষার দাবি তুলে ধরতে গিয়ে পাকিস্তানের লাহোর, করাচিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বার বার বলেছেন, মাতৃভাষার দাবি তাঁর প্রাণের দাবি। বিশিষ্ট জনদের অভিমত, ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরা জরুরী।