প্রতি বছরই শীত মৌসুমে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। তবে এবার পাখি এসেছে তুলনামূলক কম। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন ধরণের কারেন্ট জাল ও ফাঁদ দিয়ে পাখি শিকার করার কারণেই গেল কয়েক বছর ধরে পাখির দেখা মিলছে কম। পাখি না থাকায় প্রায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে এ হাওর।
২০০০ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে টাঙ্গুয়ার হাওরকে। প্রতি বছর শীতে সাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে এখানে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসে। পানকৌড়ি, ভূতিহাঁস, পিয়ং হাঁস, খয়রাবগা, সরালিসহ নানা প্রজাতির পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয় হাওরটি। তবে এবারের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন।
স্থানীয়দের অভিযোগ হাওরে রাতের আঁধারে এক শ্রেণির অসাধু পাখি শিকারী ও পাখি ব্যবসায়ীদের কারণে পাখি আসা কমে গেছে। এছাড়া হাওরের জলাবন, হিজল কড়চ, নলখাগড়া বিলুপ্তি, ইঞ্জিন চালিত মেশিনের শব্দের কারণেও পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ কারণে এ বছর প্রায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে এ হাওর।
অবৈধভাবে পাখি ও মৎস্য শিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানালেন জেলা প্রশাসক ।
টাঙ্গুয়ার হাওরে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন কার্যকর, জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য যুগপোযোগী কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নেবে।