জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলায় তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে জলিল, রাজা ও সজিব শিকদার নামের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে মৃর্জাগঞ্জ থানা পুলিশ। ভুক্তভোগী নারী উপজেলার শ্রীনগর এলাকার বাসিন্দা।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদি হয়ে আজ রোববার দুপুরে তিনজনের নাম উল্লেখ করে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন । এ ঘটনায় জলিলুর রহমান জলিল (৪০), রাজ্জাক ওরফে রাজা সিকদার (৪০) ও মো. সজিব শিকদার (২৪) কে আটক করেছে পুলিশ।
গণধর্ষণের শিকার তিন সন্তানের জননী জানায়, আসন্ন আগামী ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত আসন থেকে ইউপি সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি ঘুড়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তিনি। শনিবার রাতে চুন্নু ফকিরের বসত ঘরের পূর্বপাশের জমিতে জলিলুর রহমান জলিল, রাজ্জাক ওরফে রাজা সিকদার, ও মো. সজিব শিকদার ধর্ষণ করে বলে ঐ নারী জানায়।
মামলার বরাদ দিয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আনোয়ার জানায়, শ্রীনগর গ্রামের হোসেন ফকিরের ছেলে চুন্নু ফকিরের ঘরে সকলের কাছে দোয়া চেয়ে শনিবার রাত ৯টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন ঐ নারী ভুক্তভোগী। , এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা জলিল, সজিব ও রাজাসহ অন্যান্যরা মিলে ভুক্তভোগী নারীর মুখ চেপে ধরে রাস্তার পাশে ধানক্ষেতে নিয়ে যায়।
সেখানে জলিল তাকে ধর্ষণ করার সময় অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে মৃত ভেবে সবাই চলে যায়। পরে রাত আনুমানিক ১১ঃ০০ ঘটিকার দিকে ভুক্তভোগীর জ্ঞান ফিরলে তার ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে রাত ৩ টার দিকে আসামিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনা জানার সাথে সাথে পুলিশ সুপার পটুয়াখালী তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানকে ঘটনাস্থলে পাঠান। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।
ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, এলাকাবাসী এহেন ও ঘৃণিত কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান ।