পটুয়াখালীর রাঙ্গাঁবালীতে আগুনমূখা নদীতে স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজের ৩৯ ঘণ্টা পর পুলিশসহ পাচঁজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে আলাদা সময়ে আগুনমূখা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে কাকড়ার চর থেকে প্রথম লাশটি উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। আর বাকি চারজনের লাশ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মৃতরা হলেন- রাঙ্গাঁবালী থানার পুলিশ কনস্টেবল মো. মহিব্বুল্লাহ ও কৃষি ব্যাংক বাহেরচর শাখার পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আশা ব্যাংকের বাহেরচর খালগোড়া শাখার কর্মকর্তা কবির হোসেন, দিনমজুর মো. ইমরান ও মো. হাসান মিয়া। সবার বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাঙ্গাঁবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ জানান, সকাল থেকে লাশগুলো আগুনমূখা নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাসমান অবস্থায় দেখে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত লাশ কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় রাখা হয়েছে। শনাক্ত করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মৃতদেহ ফুলে উঠলেও এখন পর্যন্ত বিকৃত হয়নি। তাই পরিবারের সদস্যরা মৃতদের সহজেই শনাক্ত করতে পারবে বলেও জানান রাঙ্গাঁবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার জেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন উপজেলা রাঙ্গাঁবালীর কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট থেকে গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি লঞ্চঘাট যাওয়ার পথে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে যাত্রীবাহী স্পিডবোট। আগুনমুখা নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে এর তলা ফেটে ডুবে যায়। এতে ১৭ যাত্রীর মধ্যে ১২ জন উদ্ধার হলেও পাঁচজন যাত্রী নিখোঁজ ছিলেন। আজ তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।