টানা তিন মাস ধরে স্বস্তির রপ্তানি পাচ্ছে বাংলাদেশ। সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বরেও পোশাক রপ্তানি হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে বেশি। আসছে ডিসেম্বরে বড়দিনকে কেন্দ্র করে করোনার লোকসান কাটিয়ে উঠার প্রত্যাশা করছেন পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা।
তবে দ্বিতীয় ধাপে করোনার সংক্রমণকে এক্ষেত্রে বড় বাধা মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, করোনার মধ্যেও ভালো ব্যবসা করতে প্রয়োজন অনলাইনে গুরুত্ব দেয়া।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে না এলেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আসছে একের পর এক সুবাতাস। গেলো তিন মাস ধরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও দিচ্ছে সেই ইঙ্গিত।
পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজারগুলোয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও সেপ্টেম্বরে রপ্তানি হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় ৬ শতাংশ বেশি। জুলাইয়ে রেকর্ড ৩৯১ কোটি ডলারের রপ্তানির পর আগস্টে কিছুটা কমলেও সেপ্টেম্বরে আবারও রপ্তানি বেড়ে হয়েছে ৩০১ কোটি ডলারের। সবমিলে অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৯৯০ কোটি ডলার যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিলো ৯৬৬ কোটি ডলার।
হিসেব বলছে, প্রথম প্রান্তিকের রপ্তানির ৮২ শতাংশ এসেছে পোশাক খাত থেকে। আবার সামনে বড়দিন হওয়ায় পোশাক বিক্রির বড় আশা বেধেছেন উদ্যোক্তারাও। তবে এসবের পরও রয়েছে করোনা শঙ্কা।
বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলছেন, অবশ্যই পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়াবে। তবে শঙ্কা একটাই করোনার আবার চরিত্র বদলায় কি না।
উদ্যোক্তারা এখনও তাকিয়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ কিংবা ভ্যাকসিনের দিকে। ব্যবসায়ী খসরু চৌধুরী বলছেন, এখনও ভ্যাকসিন আসেনি আমাদের হাতে। এদিকে সংক্রমণও বাড়ছে। আর করোনাতে মানুষের আয় কমে যাওয়ায় পোশাক কম বিক্রির আশঙ্কাও করছেন এই ব্যবসায়ী।
সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলছেন, অনলাইন ভিত্তিক কেনাকাটায় আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলে আমরা আরেকটি বড় বাজারে প্রবেশ করতে পারবো। এছাড়াও রপ্তানি ধরে রাখতে দক্ষতা বাড়ানোর বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে পোশাক কারখানাগুলোয় নিয়মিত কাজ থাকায় বেজায় খুশি শ্রমিকরাও। তারা বলছেন, করেনার এই দুঃসময়ে কাজ থাকায় খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারছেন তারা।