শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের কৃষকলীগ নেতা হারুন-অর রশীদের বিরুদ্ধে এক শিশু গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হারুন-অর রশীদসহ ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা চেষ্টার অভিযোগে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
আজ ৭ অক্টোবর বুধবার দুপুরে নালিতাবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতিত শিশুর বাবা।
এদিকে রাতভর অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার দিনমজুরের স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর তাদের ১২ বছর বয়সী শিশুটিকে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী কাকরকান্দি ইউনিয়নের ঘাইলারা গ্রামের কৃষকলীগ নেতা হারুনুর রশীদের (৩৫) বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে পাঠায়।
সেখানে নানা প্রলোভনে শিশুটিকে ধর্ষণ করে গৃহকর্তা হারুন। একপর্যায়ে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে টাকা দিয়ে আপোষ করে নির্যাতিতা শিশুটিকে বাবার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। শিশুটি পরে একাধিক জায়গায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে থাকে।
এদিকে গতকাল রাতে হঠাৎ করে চাপাপড়া এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাউর হলে নড়েচড়ে উঠে পুলিশ প্রশাসন। রাতভর অভিযান চালিয়ে পুলিশ বুধবার সকালে নির্যাতিতা শিশুটিকে পার্শ্ববর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার রণকুঠুরা গ্রামে তার তার ফুফাতো ভাই জাহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
সেইসাথে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আশ্রয়দাতা জাহিদুল, অভিযুক্ত হারুনের বড় ভাই সাবেক ইউপি সদস্য তাজুল ইসলামসহ ৪ জনকে আটক করা হয়।
নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ বছির আহমেদ বাদল থানায় মামলা ও চারজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের জন্য শেরপুরে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত হারুন ও সহযোগীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন কাকরকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ তালুকদার মুকুল।