প্রায় ৪ মাস ধরে বন্ধ পদ্মা সেতুতে স্প্যান বসানোর কাজ। করোনা প্রভাবের পাশাপাশি উত্তাল নদীর কারনে গতি কমেছে এই মেগা প্রকল্পে। এর মধ্যেও মূল সেতুর ৯০ ভাগ কাজ শেষ।
প্রকল্প পরিচালক আশা করছেন-নির্ধারিত সময়ে না হলেও ২০২১ এর ডিসেম্বরের মধ্যে শেষের লক্ষ্য নিয়েই এগুচ্ছে কাজ।
পদ্মার উত্তাল ছবিই বলে, ভাদ্র নয়, মধ্য আশ্বিনেও কতটা উত্তাল এবারের পদ্মা। যে কারণে তুলনামুলক কম নৌ-যান চলাচলও।
পদ্মা সেতুতে সবশেষ ৩১তম স্প্যান বসেছে গত ১০-ই জুন। যাতে দৃশ্যমান সেতুর ৪ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার। জুনের মধ্যেই সব স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা থাকলেও-নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় নতুন কোন স্প্যান বসাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম অবশ্য আশা করছেন, পদ্মায় পানি কমলে ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুর বাকী দশটি স্প্যান বসানো হবে।
স্প্যান বসানো বন্ধ থাকলেও-থেমে নেই প্রকল্পের কাজ। পদ্মা সেতুর উপরে উঠলে মনে হতে পারে- একেবারে শেষের দিকে সেতুর কাজ। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চীনা কর্মকর্তাদের তত্বাবধানে সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যস্ত শ্রমিকরা। তবে তারা বলছেন, দিন রাত্রি কাজ করা হচ্ছে। করোনার কারণে শ্রমিক কমে যাওয়ায় অগ্রগতি কিছুটা কম।
আগামী বছরের জুনে প্রকল্প শেষের লক্ষ্য থাকলেও-করোনার বাস্তবতা তা পিছিয়ে দিয়েছে। প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলছেন, ২০২১ সালের জুনে এই সেতুর কাজ শেষের কথা থাকলেও করোনা এবং বন্যা আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে। তবে ২০২১ এর ডিসেম্বরের মধ্য কাজ শেষের চেষ্টা করা হবে। তা না হলে এটি ২০২২ এর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে চলে যেতে পারে।
ফলে ২০২২ সালের মধ্যেই দেশের দীর্ঘতম দ্বিতল এই সেতুতে যানচলাচলের স্বপ্ন দেখতেই পারে দেশের মানুষ।