কখনো পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে, ভাসিয়ে নিচ্ছে বিস্তির্ণ লোকালয়। আবার কদিনের ব্যবধানে সেই নদীতেই নাব্য সংকট, জেগে উঠছে ডুবো চর। কেন এই পরিস্থিতি? নদীর এই আচরণ কি স্বাভাবিক
নদী বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা বলছেন, অপরিকল্পিত ড্রেজিং ব্যবস্থাপনায় তলদেশ ভরাট হয়ে অগভীর হচ্ছে দেশের নদ-নদী, যাতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক প্রবাহ। তৈরী করছে অপ্রত্যাশিত ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যা পরিস্থিতির।
দীর্ঘস্থায়ী বন্যা দেশের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে। সরকারি তথ্য মতে, এবছর দেশের ৩১ জেলার অর্ধকোটি মানুষ বন্যায় প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতির সম্মুখিন। যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।
ভাটির দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের নদ-নদীতে বরাবরই পলি প্রবাহ অতিরিক্ত। যা তলদেশ ভরাট করে নদীর পানিধারণ ক্ষমতা হ্রাস করছে। যে কারণে অতি বৃষ্টি বা ঢলের পানি উপচে প্রবেশ করছে লোকালয়ে।
দেশের এই বন্যা পরিস্থিতি প্রেক্ষাপটের সাথে একেবারেই ভিন্নমত, নদী গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের। তাদের দাবি, এবছর পানি প্রবাহের তুলনায় দেশের বন্যা পরিস্থিতি বেশি দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ড. গওহর নাঈম ওয়ারা বলছেন, অভীর হওয়ায় বন্যার পানি বের হতে পারে নি এতে করে বন্যা দীর্ঘায়িত হয়েছে। নদীকে সাগরের সাথে মিলিত করতে না পারলে এই সংকট নিরসন সম্ভব নয় বলেও মত দেন তিনি।
দুর্বল ড্রেজিং ব্যবস্থাপনা ও নদী রক্ষায় আইনের কার্যকর প্রয়োগ না হওয়ায় দেশের নদীগুলো দিনদিন নাব্য হারাচ্ছে বলেও মত দেন জাতীয় নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজবুর রহমান হাওলাদার।
শুধু বন্যা থেকে রক্ষা নয়, কৃষি প্রধান বাংলাদেশে নদী বাঁচিয়ে রাখার কোন বিকল্প নেই বলেও মত তাদের।