সাম্প্রতিক সময়ে টেলিফোনে ও উড়ো চিঠিতে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা জঙ্গিসহ ভয়ংকর অপরাধীদের কারাগার থেকে ছিনিয়ে নেয়ার হুমকি দিয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে দেশের কারাগারগুলোতে দ্রুত নিরাপত্তা বাড়াতে ও সবোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে সংশ্লিষ্ট কারাকর্তৃপক্ষের কাছে রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) চিঠি দিয়েছেন আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা।
একই সঙ্গে এসব কারাগারে থাকা বন্দি শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও বিভিন্ন ভয়ংকর অপরাধীদের ওপর কঠোর নজরদারির নির্দেশও দেয়া হয়েছে। চিঠিতে সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে ১৮টি নির্দেশনাও দেন তিনি।
সোমবার ( ১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন জানান, রোববার সকালেই দেশের সব ডিআইজি প্রিজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। বিভিন্ন নিরাপত্তার বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কারা অধিদপ্তর থেকে আইজি প্রিজন স্যারের নির্দেশনা সম্বলিত একটি চিঠি ইস্যু করে সব কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এতে যেকোনো হামলা প্রতিরোধের ব্যবস্থা হিসেবে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। লালমনিরহাটের একটি হুমকির বিষয়ে আপনারা অবগত। সে বিষয়সহ নানা রকম বিষয় মাথা রেখে দেশের সব কারাগারে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আইজি প্রিজন্সের দেওয়া নির্দেশনারগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি কারাগারে একজন ডেপুটি জেলার, একজন প্রধান কারারক্ষী ও পাঁচজন কারারক্ষীর সমন্বয়ে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করে সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধে প্রস্তুত থাকা।
কারাগারের বাইরের গেটে দায়িত্বপালনকারীদের বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট নিশ্চিত করে আগতদের মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা, ডিউটিতে সশস্ত্র সেন্ট্রি নিয়োগ দেয়া, অস্ত্র ও অস্ত্রাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
এ ছাড়া চিঠিতে তিনি লিখেছেন, কারাগারের অস্ত্রাগার থেকে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে যাতে দ্রুত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করা যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় মহড়া আয়োজন, কারাগারের চারপাশের সীমানাপ্রাচীর সুরক্ষিত রাখা ও অ্যালার্ম সিস্টেম পরীক্ষা করে প্রস্তুত করে রাখা, কারাগারে আটক জঙ্গি আইএস, শীর্ষ সন্ত্রাসী, বিডিআর ও বিভিন্ন সংবেদনশীল মামলায় আটক বন্দিদের চলাচল ও গতিবিধি কঠোরভাবে নজরদারি করতে হবে।