ব্যাপক বিক্ষোভের জেরে অবশেষে পদত্যাগ করলো পূর্ব লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার। দুর্নীতি ও জীবনযাপনের খারাপ মানের প্রতিবাদে দেশটির বেনগাজি, আল-মার্জ, সাভা সহ বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ হচ্ছিল বলে জানিয়েছে ডয়চে ভেলে।
গণমাধ্যমটি জানায়, রোববার বিক্ষোভকারীরা বেনগাজিতে প্রশাসনিক সদর দপ্তরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার পর ইস্তফা দেয়ার কথা জানিয়ে দেন দেশটির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা আল-থানি।
হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকারের কাছে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। বেনগাজি ছাড়াও আল-মার্জে সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। গেল ১৪ মাস ধরে পূর্ব লিবিয়ার সরকারের সঙ্গে এলএনএ-র সংঘাত চলছে।
রাজধানী ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণ নেয়ারও চেষ্টা করেছে এলএনএ। একই সঙ্গে লিবিয়ার সব তেল সংস্থায় অবরোধ করে রেখেছে তারা। ফলে ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পড়েছে দেশটি।
গদ্দাফির পর থেকেই রাজনৈতিক, মানবিক ও অর্থনৈতিক সমস্যায় জেরবার লিবিয়া। গত বৃহস্পতিবার থেকে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তার কারণ সমানে লোডশেডিং, পেট্রোল-ডিজেলের মাত্রাছাড়া দাম এবং লোকের কাছে অর্থের অভাব।
গত ১৪ মাস ধরে পূর্ব লিবিয়ার সরকারের সঙ্গে এলএনএ-র সংঘাত চলছে। এলএনএ রাজধানী ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণ নেয়ারও চেষ্টা করেছে।