যশোরের অভয়নগরে বোনের বাসা থেকে বেড়িয়ে বাবার বাসায় যাওয়ার পথে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী। শনিবার সকালে উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামে নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন একটি মেহগনি বাগানে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পরে ধর্ষিতার বোন বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় তিন যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে শনিবার বিকালে তাদেরকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক তিন যুবক ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে।
ধর্ষণের দায় স্বীকার করা আটক তিন যুবক হলেন, উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের শাহীমোড় রেল বস্তির মৃত লিয়াকত আলী বিশ্বাসের ছেলে হাসান আলী (২৬), একই এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে হাবিব (২৮) ও মৃত আফিল উদ্দিন শেখের ছেলে ফরিদ (২২)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল আনুমানিক ৬টার সময় গুয়াখোলা ডিএন মোড়ে বড় বোনের বাসা থেকে বাবার বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয় ওই কিশোরী।
এ সময় বোনের দুই বছর বয়সী ছেলে নয়ন সঙ্গে ছিল। নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন একটি মেহগনি বাগানের সামনে পৌঁছালে পূর্ব পরিচিত হাসান আলী ও ফরিদ ওই কিশোরীর গতিরোধ করে জোরপূর্বক বাগানের পশ্চিম পাশে নিয়ে যায়।
পরে হাসান মোবাইল করে হাবিবকে দ্রুত বাগানে আসতে বলে। হাবিব বাগানে পৌঁছালে প্রথমে হাসান ও পরে হাবিব পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় শিশু নয়নকে নিয়ে রাস্তায় পাহারা দিচ্ছিল ফরিদ।
এক পর্যায়ে ওই কিশোরী চিৎকার করলে শিশুটিকে রাস্তায় ফেলে তিনজন পালিয়ে যায়। অসুস্থ অবস্থায় কিশোরী বাসায় ফিরে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানালে অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর আসামি আটকে অভিযান শুরু হয়। খোঁজাখুঁজির পর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করেছে।