দুই বছর আগে বউ ভাগিয়ে নিয়ে গেছে। লাখের ওপর টাকাও নিয়েছে। আরও টাকার জন্য ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যশোরের চৌগাছায় ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে এভাবেই অভিযোগ করলেন চৌগাছা উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলাইমান হোসেন।
রোববার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সোলাইমান হোসেন বলেন, ‘চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সহ-সভাপতি ছোটদিঘড়ী গ্রামের আইজেল হকের ছেলে সাদেকুর রহমান বিভিন্ন অজুহাতে তার বাড়িতে আসতো।
একপর্যায়ে আমার স্ত্রীর সাথে সে পরকীয়া সম্পর্ক তৈরি করে। ২০১৭ সালে ৩১ জুলাই বাজার থেকে ফিরে জানতে পারি, ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুরের সাথে আমার স্ত্রী চলে গেছে। যাওয়ার সময় তারা নগদ ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার সোনার গহনা নিয়ে যায়।’
এ ব্যাপারে ২০১৮ সালে ৩ সেপ্টেম্বর তিনি যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি একটি মামলা করেন। এর কয়েকদিন পর ২২ সেপ্টেম্বর ফ্রিজ কিনতে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর বাজারে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুর ও তার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার গতিরোধ করে ও ১০ লাখ টাকা দাবি করে।
টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা তাকে মারপিট করে তার কাছে থাকা এক লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
পরদিন এ ব্যাপারে আদালতে তিনি আরও একটি মামলা করেন। এরপর দীর্ঘদিন সাদেকুর সপরিবারে সিলেট ছিল। সম্প্রতি এলাকায় ফিরে বিভিন্ন মাধ্যমে আবারও হাত-পা ভেঙে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
সোলাইমান হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাকে মারপিট, হত্যার হুমকি, স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়া ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুর রহমান এখন চৌগাছা ছাত্রলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন। আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাটক সাজিয়ে মামলা ও হয়রানি করতে পারেন বলে আমি চরম আতংকের মধ্যে আছি।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুর রহমান তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘পারিবারিক কলহের কারণে ২০১৬ সালের দিকে সোলাইমান হোসেন ও তার স্ত্রীর মধ্যে তালাক হয়ে যায়। এরপর ২০১৮ সালে পারিবারিকভাবে সালমার সাথে আমার বিয়ে হয়। আমি কারও বউকে বিয়ে করিনি। তালাকপ্রাপ্ত এক নারীকে বিয়ে করেছি।’