সস, নামেই জিভে জ্বল আনে। কিন্তু আপনার সসে কতটা আছে টমেটো?- নাকি পঁচা গলা গাজরের, সাথে আটা, রং আর কেমিক্যালে তৈরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে এমন কেমিক্যাল সস, বাড়াবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বলছে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে সামনে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সস, অনেকের কাছে মুখরোচক আর স্বাদে বেশ অতুলনীয়। সবার বিশ্বাসের কারণটা বোধহয় টমেটোর ছবিযুক্ত এই লেভেল। কিন্তু এরমধ্যে কি ছিটেফোঁটাও টমেটো আছে? অনুসন্ধান কামরাঙ্গীরচরে সৃষ্টি নামক এই সস কারখানায়।
শ খানেক ড্রামের কোনোটিতে পঁচা গাজরের পেস্ট, কোনোটিতে কেমিক্যাল আটা আর রং মিশ্রিত পানি।
মূল সস তৈরি হচ্ছে ঠান্ডা পানিতে বিভিন্ন কেমিক্যাল, সাইট্রিক সাথে পঁচা গাজরের পেস্ট মিশিয়ে গরম করা হয়। এরপর ঘণ হলে তার সাথে নিম্নমানের কাপড়ের রং মিশিয়ে হয়ে গেলো স্বাধে অনন্য মুখরোচক সস।
এরপর বোতলজাত এসব সসের গায়ে লেভেল সাটা হচ্ছে টমেটো গাজরের ছবি দিয়ে। যেখানে বলা হচ্ছে ভেজিটেবল সস। অথচ কারখানার কোথাও টমেটো বা ভেজিটেবলের চিহ্নও নেই।
এবার দেখুন কারখানাটির কেমিক্যাল আর রং এর মজুদ। কারখানার পরিবেশটাও নোংরা নর্দমায় ঠাসা। নেই বিএসটিআই এর অনুমোদনের বালাই।
এরপর কারখানার প্রায় শ খানেক ড্রামে তৈরি সস ও সস তৈরির কাঁচামাল জব্ধ করে ধ্বংস করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এমন খাদ্য প্রতারণা অব্যাহত থাকলে আরো কঠোর হওয়ারও কথা জানায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।