গতকাল নারায়ণগঞ্জ পুলিশের উদ্ধার করা ২ শিশুর বাবা মাকে খুঁজে পাইনি। আবার কাউকে নির্দিষ্ট সময়ের বেশি থানায় রাখাও যায় না। একই সাথে অপ্রাপ্তবয়স্ক তারা। বেতার বার্তা প্রেরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব থানায় যোগাযোগ করা হয়েছে।
হারিয়ে যাওয়া সুমন ও আব্বাস নামে কোন বাচ্চার জন্য সাধারণ ডায়রি লিপিবদ্ধ হয় নাই। এমতাবস্থায় ওদেরকে কোর্টের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের, সিদ্ধিরগঞ্জে, গোদনাইল সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ব্যক্তিগতভাবে অনেক চেষ্টা করেও তাদের প্রকৃত অভিভাবক খুঁজে পাইনি। বিভিন্ন সময় উদ্ধারকৃত অনেক শিশুকে তাদের পরিবারের জিম্মায় প্রদান করেছি। এমন কেস প্রায়শই হ্যান্ডেল করি। পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে কেউ, সবসময়ই মনপ্রাণ দিয়ে চেয়েছি পরিবারের কাছে ফেরত পাঠাতে। বিভিন্ন সময় আপনারা দেখেছেন খুঁজে খুঁজে বের করে অবুঝ শিশুদের তাদের বাবা মায়ের বুকে ফিরিয়ে দিয়েছি। পেশাদারিত্বের চেয়েও বিবেকের দায়িত্ব কাজ করে এক্ষেত্রে । আর কারো সন্তান হারিয়ে গেলে তাদের বুকে সন্তান উদ্ধার করে দেওয়ার পর তাদের মুখের হাসির দিকে তাকালে যে আত্মতুষ্টি, শান্তি পাওয়া যায় এটা কোটি কোটি টাকা দিয়েও অর্জন করা যায় না!
সুমন আর আব্বাসের দিকে তাকালে আমার দুটো বাচ্চার কথা মনে হয়। আমি যতটা ভালোবাসা, মনপ্রাণ দিয়ে আগলে রাখি আমার ছেলেদের তাদের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম করে নাই হয়ত তাদের বাবা মা। ওদের হারিয়ে ওদের বাবা মা না জানি কতটা মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
ওদের প্রকৃত অভিভাবক না পাওয়া অব্দি তারা সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রেই থাকবে।
ভিকটিম-১
নাম- সুমন। বয়স -১০, পিতা- রফিক, মাতা-তানিসা, জেলা-রংপুর।
ভিকটিম-২
নাম- আব্বাস। বয়স-৬, পিতা- জিলন, মাতা- রুমা, জেলা- ভোলা।
দুইজনের বাবাই রিক্সা চালায় সিলেটে। দুইজনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সব ধরনের চেষ্টা করেও ওদের কোন অভিভাবক খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমার বন্ধু তালিকায় সবাই শেয়ার করে দিবেন প্লিজ। যদি এই পোস্ট দেখে আব্বাস ও সুমনের কোন পরিচিত জন বা আত্মীয় স্বজন দেখে চিনতে পারে তাইলে ওদের বাবা মায়ের কাছে ওদের ফেরত দিতে পারবো। মায়ের নাড়িছেঁড়া রত্ন মায়ের কোলে যাবে। বিশেষ করে যারা রংপুর, ভোলা, সিলেটের অধিবাসী আছেন তারা আঞ্চলিক গ্রুপগুলোতে শেয়ার দিয়ে আব্বাস ও সুমন এর পরিবারকে খুঁজে পেতে সাহায্য করুন।
যোগাযোগ,
আমার নাম্বার-০১৭১৩৩৭৩৩৪৩
সোনারগাঁ থানার ওসির নাম্বার -০১৭১৩৩৭৩৩৫০
লেখক : অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জ জেলা
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত