বেইজিংকে অত্যাধুনিক এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করার কথা থাকলেও তা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। এটিকে অনেকে, দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে মার্কিন রোষের মুখে পড়ার পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে ধাক্কা বলছে।
দেশের আকাশসীমা সুরক্ষিত রাখতে রুশ নির্মিত এই এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম ভারতও কিনেছে।
ফলে বিশ্লেষকদের মতে, পূর্ব লাদাখে চীনা আগ্রাসনের জবাবে বন্ধু ভারতকে আশ্বস্ত করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া। একই অভিযোগ তুলেছে চীনও।
এক বিবৃতি দিয়ে বেইজিং অভিযোগ করেছে, তৃতীয় কোনো দেশের (ভারত) ইশারাতেই তাদের মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম সরবরাহ করতে চাইছে না রাশিয়া৷ নাম উল্লেখ না করলেও ভারতের দিকেই যে ইঙ্গিত করেছে বেইজিং তা স্পষ্ট।
তবে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্প্রতি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মস্কো ও বেইজিংয়ের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। চীনের হাতে গোপন তথ্য তুলে দেওয়ার অভিযোগে, সেন্ট পিটার্সবার্গ আর্কটিক সোশ্যাল সায়েন্স অ্যাকাডেমির প্রেসিডেন্ট বেলেরি মিটকোকে গ্রেপ্তার করেছে রাশিয়া।
চীনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসাইল সিস্টেমটি সরবরাহ নিয়ে একাধিক জটিলতার বিষয় তুলে ধরেছে মস্কো। যেমন, এই সিস্টেম পৌঁছে দিতে এবং এর ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ দিতে রুশ সেনা কর্মকর্তাদের চীন যেতে হবে।
একইভাবে চীনা সেনা কর্মকর্তাদেরও প্রশিক্ষণের জন্য রাশিয়া আসতে হতে পারে। কিন্তু করোনা মহামারির আবহে তা সম্ভব নয়। তাই আপাতত অস্ত্রগুলো সরবরাহ করা সম্ভব নয়।
২০১৮ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেমের প্রথম চালান হাতে পায় চীন। এরপরই ভারত এই মিসাইল সিস্টেম পেতে তোড়জোড় শুরু করে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের রাশিয়া সফরের সময়ই পুতিন সরকার এই মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷
আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই তা ভারতের হাতে চলে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ভারতকে সময়মতো এই মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম সরবরাহ করলেও চীনের ক্ষেত্রে উল্টোপথে হেঁটেছে মস্কো৷