প্রথম স্বামী থাকা সত্ত্বেও ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে এক যুবকের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সোমা দাস। কেবল বিয়ে করা পর্যন্তই নয়, দ্বিতীয় স্বামী পরিতোষ মণ্ডলকে নিয়ে প্রথম স্বামীর বাড়িতে থাকছিলেন তিনি।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, শুধু থাকাই নয়, স্বামীর ওপর ক্রমাগত অত্যাচার করত সোমা। খেতে না দেওয়া, মারধরের মতো ঘটনা লেগেই থাকত। পরে সোমার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতিবেশীরা। এর জের ধরে আজ শনিবার সকালে সোমা এবং পরিতোষকে আটক করে পুলিশ।
ভারতের সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানায়, বেহালার শিশিরবাগানের বাসিন্দা সোমা দাসের বহু বছর আগে বিয়ে হয়েছে। স্বামী, ছেলে নিয়ে ঠিকঠাক চলছিল সোমার সংসার। সংসারের কাজ সামলে প্রথম প্রথম ইন্টারনেটে কিছু সময় কাটাতেন তিনি। এরই মধ্যে ফেসবুকে কোচবিহারের যুবক পরিতোষ মণ্ডলের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয় তার। এরপর ক্রমেই পরিতোষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। পরিতোষ জানতে পারেন, সোমা বেহালার শিশিরবাগানের বাসিন্দা। প্রেমের টানে কোচবিহার থেকে কলকাতায় দৌড়ে যান তিনি। তারপর যা হলো, তা যেকোনো সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়।
প্রতিবেশীদের দাবি, প্রথম স্বামী মনোজিৎ দাস শান্ত স্বভাবের। সোমাকে কোনো কিছুতেই কখনো বাধা দেন না তিনি। তার ফলে দাম্পত্য সম্পর্ক বেশ চলছিল। বছর ষোলোর এক পুত্রসন্তানও রয়েছে দুজনের।
একদিন আচমকাই সেই সংসারে এসে হাজির হন কোচবিহারের পরিতোষ মণ্ডল। তারপরই স্বামী জানতে পারেন, সোমা এবং পরিতোষের ঘনিষ্ঠতার কথা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পরিতোষের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে করে ফেলেন সোমা।
এরপর জোর করে পরিতোষকে সঙ্গে নিয়ে মনোজিতের বাড়িতেই থাকতে শুরু করে সোমা। তবে দ্বিতীয় বিয়ে এবং প্রথম স্বামীর বাড়িতেই প্রেমিকের সঙ্গে সহবাসের বিষয়টি নজর এড়ায়নি প্রতিবেশীদের। প্রতিবেশীরা সোমা এবং পরিতোষের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। সোমার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। এরপরই আজ শনিবার সকালে সোমা এবং পরিতোষকে আটক করে পুলিশ।