জুলাই এর গণঅভ্যুত্থান ও দ্বিতীয় মুক্তির দাবিতে জীবন উৎসর্গকারী পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার বীর সন্তানদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও তার পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা, অকৃত্রিম ভালবাসা জানাতে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদ পতনের অন্যতম রূপকার, উপজেলার কৃতি সন্তান, তারুণ্যের আইকন, ডাকসুর সাবেক ভিপি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূরের শুভ আগমন উপলক্ষে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের দেশ ত্যাগের পরে নিজ জন্মভূমিতে আগমন করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি, গণঅধিকার পরিষদের সম্মানিত সভাপতি নূরুল হক নূর। এছাড়া, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসন হতে নির্বাচন করবেন নুরুল হক নূর।
মঙ্গলবার বিকাল চারটা ত্রিশ মিনিটের দিকে উপজেলার মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে এ গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এ সময় উপজেলার শহীদ বীর সন্তানদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা সহ ফুলেল শুভেচছা জানান বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাফিজুর রহমান, আহবায়ক, গণঅধিকার পরিষদ, গলাচিপা উপজেলা শাখা, জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন দলের সহসভাপতি মো. মিজানুর রহমান।
ডাকসুর সাবেক ভিপি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর বলেন, ‘আমি আপনাদেরই সন্তান। আমি চরাঞ্চলে কাদা-মাটি গাঁয়ে লাগিয়ে বড় হয়েছি। মা মাটিকে কেউ ভুলতে পারেনা।আপনাদের পাশেই সারাজীবন থাকতে চাই। আপনাদের ভালবাসায় আমি সিক্ত হয়েছি। দেশের জন্য ভাল কিছু করতে পারলে নিজের আত্মা শান্তি পাবে।
আমি কোন প্রতিশোধের রাজনীতি করবো না। আপনারা জানেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি হওযার পর আমি যখন প্রথম এসেছিলাম এই গলাচিপা- দশমিনায়ই আমার বোনের বাড়ি যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়েছি। আমি ইচ্ছে করলে প্রতিশোধ নিতে পারতাম, মামলা দিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করাতে পারতাম কিন্তু আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে আমি মনে করি, কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পা-য়,তাই বলে কুকুরকে কামড়ানো শোভা পায়। অত্র অঞ্চলের সবাই আমার আপনজন, আমি কার বিরুদ্ধে মামলা করবো। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মান করার জন্য নতুন নেতৃত্ব দরকার। সারা বাংলাদেশে গণ অধিকার পরিষদের যে জোঁয়ার ওঠেছে তাতে আমরা আমরা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবো। আমি ঢাবি মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভোটে ভিপি হয়েছিলাম। আমি আপনাদের ভোটে অত্র অঞ্চলের পটুয়াখালী-৩(গলাচিপা-দশমিনা) আসনের এমপি হতে চাই।
নির্বাচন যখন হোক সরকার হতে হবে জাতীয় সরকার অর্থাৎ এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, চরমোনাইসহ সকল দলের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে যাতে সরকার পূনরায় ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে। গত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ের মত নতুন বাংলাদেশে চর দখল, টেন্টারবাজি, ঘাট দখল আর চলবেনা। অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রের সংস্কার করে শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’