চরভদ্রাসনে মিলছে না সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি এবং ফার্মের ডিম। মূল্য নির্ধারণ হলেও বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। সোমবার (৭ অক্টোবর) চরভদ্রাসন উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরকার নির্ধারিত মূল্য মানছেন না ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রয়মূল্য বেশি হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি করতে পারছেন না মুরগ ও ডিম।
নতুন মূল্য অনুযায়ী প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা, সোনালি মুরগি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা এবং প্রতিটি ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয় ১১ টাকা ৮৭ পয়সা বেঁধে দিয়েছে সরকার। এতে প্রতি ডজন ডিমের দাম পড়ে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।
তবে চরভদ্রাসনের দু-একটি বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৮৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও অনেক বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা। সোনালি মুরগির পিছ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা। আর প্রতি পিস ডিম পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২.৬০ পয়সা। সে হিসেবে ৫২ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে তা আরো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
এক সাপ্তাহ আগে চরভদ্রাসন উপজেলা বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা কেজিতে পাওয়া যেতো। কম ছিল সোনালি মুরগির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুটির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩৫ টাকার মতো।
ক্রেতারা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকি দরকার। যারা মুরগ ও ডিম বিক্রি করছে তারা আসলে অতিরিক্ত দাম রাখছেন। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। এর আগেও দাম বেঁধে দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছিল। গত বছরের ও আলু, ডিম ও দেশি পেঁয়াজের দাম বেঁধে দিয়েছিল সরকার। কিন্তু ওই দাম বাজারে কার্যকর হয়নি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের নির্ধারিত দামে কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। সবকিছু বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সম্প্রতি দেশের ভারী বর্ষনে কয়েকটি জেলায় পোলট্রি খাতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ওইসব এলাকা থেকে মুরগি ও ডিমের সরবরাহ কমেছে। তাছাড়া ভারত থেকে আসা ডিম চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত না হওয়ায় এ পণ্যের দাম কমছে না।
পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া ক্ষতির মুখে পড়ছেন চরভদ্রাসন উপজেলার ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ডিম ও মুরগির উৎপাদন খরচের চেয়ে দাম কম হওয়ায় লোকসানে পড়তে হবে বলে জানান তারা।