দীর্ঘ সাত বছরের প্রযুক্তি প্রেমের অবসান ঘটিয়ে আজ ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হবে ইমরান ও নিকি উল ফিয়ার।
দুদেশের ভিন্ন ভাষাভাষীর দুজন মানুষের সোস্যাল মিডিয়ায় প্রেম শুরু হওয়ার পরে ২০১৭ সালে আরও একবার পটুয়াখালীর বাউফলে আসছিলো নিকি উল ফিয়া। তখন বিয়ের বয়স নদ হওয়ায় নিজ দেশ ইন্দোনেশিয়ায় চলে যায় নিকি উল ফিয়া
পরে গতকাল সোমবার ফ্লাইটে করে বাংলাদেশের শাহজালাল বিমানবন্দরে আসেন ঐ তরুণী। ঢাকা থেকে লঞ্চ যোগে আজ সকালে পটুয়াখালীতে সে।
আজ বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে স্ব শরিরে উপস্থিত হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রোট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশিকুর রহমানের সামনে উপস্থিত হয়ে এভিডেভিডের মাধ্যমে বিয়ের সম্মতিদেন। এতে বিজ্ঞ আইনজীবীর সহযোগিতায় বিয়ের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে বাউফলের উদ্দেশ্য রওয়ানা করেন।
বাউফলের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ইমরান ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। বর্তমানে তার বয়স ২৫ বছর। আর নিকি উল ফিয়ার বয়স ২৩ বছর। নিকি ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া প্রদেশের জেম্বার এলাকার বাসিন্দা ইউলিয়ানতোর মেয়ে। তার মায়ের নাম শ্রীআনি।
আগামী ২ মার্চ বৃহস্পতিবার ইমরানের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে। ইন্দোনেশিয়ার তরুণীর বাবা-মায়ের সম্মতিতে বিয়ের তারিখ ও সময় ঠিক করা হয়েছে বলে জানান ইমরানের বাবা।
ইমরান হোসেন বলেন, নিকি সাথে আমার সাত বছরের প্রেমের সম্পর্ক আমরা জজ কোর্টে এসে বাংলাদেশি আইনে নিয়ম মেনে বিয়ের সম্মতি দিয়েছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
ইন্দোনেশিয়ান তরুণী নিকি উল ফিয়া বলেন, বাংলাদেশ আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আজকের দিনের জন্য আমি খুব খুশি এবং আমি সারা জীবন বাংলাদেশ থেকে যাব।
ইমরানের মা মোস্সাম্মত বিথী আকতার বলেন, যেহেতু সে অন্য একটি দেশের মেয়ে আমাদের বাংলাদেশে এসেছে। আমার কাছে ভালো লাগছে। আমরা ছোট পরিসরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিয়ের আয়োজন করেছি।
জজ কোর্টের আইনজীবী মোঃ আল আমিন হাওলাদার বলেন, বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত হয়ে ইন্দোনেশিয়ার মেয়ে নিকি উল ফিয়া – বাউফলের দাসপাড়া ইউনিয়নের ইমরান হোসেনের সাথে বিয়ের সম্মতি দিয়েছেন। এরপরে কাজীর মাধ্যমে ইসলামিক শরিয়া মোতাবেক তার বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হবে।