সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পাটলী ইউনিয়নের সাচায়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
সকাল ৯ টায় স্কুল মাঠে ক্রীড়ানুষ্ঠানটি সফল করার জন্য ক্রীড়া শিক্ষকসহ সবাই যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উপজেলার ৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাএ ছাএী অংশ গ্রহণ করেন।
বার্ষিক ক্রীড়া উপলক্ষ্যে মাঠের একপ্রান্তে একটি স্টেজ তৈরি করা হয়েছিল। স্টেজ ও মাঠ বেলুন, কাগজের ফুল, রিবন ইত্যাদি দিয়ে সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছিল। স্টেজ ও মাঠের এই সজ্জা সুধীবৃন্দের দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছিল।
সকাল ৯ঘটিকায় প্রধান অথিতি বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপস্থিত ফিতা কাটা, স্কাউটদের কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সর্বশেষে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে তাঁকে সম্মান ও স্বাগত জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি ছিলেন জগন্নাথপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন। জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান। মেনিজিং কমিটির সভাপতি মোছাঃ হাসনা বেগম, পাটলী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ছালেহ আহমেদ, শিক্ষক মোছাঃ শিবলী বেগম, শ্রীরাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক, ,সহকারী শিক্ষক অপর্ণা চক্রবর্তী, বেলা রানী দাস,মুক্তা রানী দাস,, শিক্ষক করির আহমেদ,
সংক্ষিপ্ত স্বাগত বক্তব্যের অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
সকাল ১০টায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। এবারের প্রতিযোগিতা বিষয়গুলো বৈচিত্র্যপূর্ণ ছিল। শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০মিটার থেকে শুরু ১০০মিটার পর্যন্ত কয়েকটি দৌড়, চকলেট দৌড়, বিস্কুট দৌড়, দীর্ঘ লাফ, উচ্চ লাফ, দড়ি লাফ, গোলক নিক্ষেপ্সহ আরো বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।
এছাড়া ছিল ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ যা ছিল প্রতিযোগিতার মূল আকর্ষণ।
এরপর শুরু হয় পুরস্কার বিতরণী পর্ব। এসময় প্রধান অতিথি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’তে নিখুঁত ছদ্মবেশ, অসাধারণ বিষয়বস্তু ও অতুলনীয় অভিনয় দক্ষতার কারণে তাকে বিশেষ পুরস্কার, মেডেল ও সনদ দেওয়া হয়।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণী দুইটি পর্বই ছিল অত্যন্ত সুবিন্যস্ত। এরপরও অভিভাবকদের আসন ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে অনেককে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দেখা গেছে। এরপরও এবারের বাংলা নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠান বিদ্যালয়ের গৌরব বৃদ্ধিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হয়েছে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।