বসুন্ধরা গ্রুপের একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ‘বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন’। এটি সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত একটি ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প যার কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৫ সালের মে মাসে। ‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’-প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে এগিয়ে চলা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে মূলত এই বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০০৫ সালের ১২ আগস্ট মাসে প্রথম বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত লোকদের মাঝে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।
বর্তমানে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সীমানা অতিক্রম করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা এবং কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত লোকদের মাঝে এই ক্ষুদ্র ঋণ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। এজন্য উপকারভোগী দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত লোকদের নিকট হতে কোন প্রকার আমানত বা সঞ্চয় গ্রহণ করা হয় না।
বর্তমানে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভাসহ ১১৮টি গ্রামের মধ্যে ৮৩টি গ্রাম, নবীনগর উপজেলার ১টি গ্রাম এবং কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার ৮টি গ্রামে ঋণ কার্যক্রম চালু আছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি গ্রামের দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত লোকদের নিকট এই সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে তারা কাজ করে যাচ্ছে।
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের বর্তমান মূলধন ২ কোটি ৫১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা যা ঘূর্ণায়মানভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। এ পদ্ধতিতে ২০০৫ সালের ১২ আগস্ট থেকে আজ মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) পর্যন্ত ৬৩টি ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানের মাধমে সর্বমোট ২৩ হাজার ৬৩৬ জন দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত লোকের মাঝে মোট ২০ কোটি ১১ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ঋণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন ও দৈনিক কালের কাণ্ঠের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী ।
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ২০০৫ সালের ১২ আগস্ট থেকে আজ মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) পর্যন্ত মোট ১৭ কোটি ৮৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮৫০ টাকা ঋণ আদায় করা হয়েছে। সে হিসেবে ২ কোটি ২৬ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০ টাকা মাঠে অবশিষ্ট রয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পরলেও বসুন্ধরা গ্রুপের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ‘বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন’ সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন মনে করে, এই ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প দেশ ও জনগণের উন্নয়নমুখী প্রকল্প যা বাংলাদেশের দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবে।