বিশ্বব্যাংকে চাকরি পেয়েছেন ২৩ বছর বয়সী ভারতীয় তরুণ বৎসল নাহাতা। ৬০০ ইমেইল, ৮০টি ফোনকলের পর এই চাকরি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। খবর:
এনডিটিভিইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা বৎসল নাহাতা বলেন, ‘কিন্তু আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম, কিছুতেই ভারতে ফিরে যাবো না এবং আমার প্রথম বেতন হবে ডলারেই।
এরপর আমি বিভিন্নভাবে নেটওয়ার্কিং করতে লাগলাম এবং চাকরির পোর্টালে আবেদন করার চিন্তা বাদ দিয়ে দিলাম।সম্প্রতি লিংকডইনে নিজের এই অবিশ্বাস্য যাত্রার কথা শেয়ার করেছেন বৎসল নাহাতা। তার এই আলোচিত পোস্টে লাইক দিয়েছেন ১৫ হাজার ব্যবহারকারী এবং শেয়ারও করেছেন প্রচুর মানুষ!
বৎসল জানিয়েছেন, ২০২০ সালে কোভিড মহামারির সময় ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ পর্যায়ে ছিলেন তিনি। মহামারি চরম আকার ধারণ করতে না করতেই কোম্পানিগুলো নির্বিচারে কর্মী ছাঁটাই করছিল তখন। এমনই এক সময়ে চাকরির জন্য আবেদন করতে শুরু করেন বৎসল। কিন্তু গতানুগতিক আবেদনপত্র জমা দেওয়ার মাধ্যমে নয়, বরং আরও স্মার্ট পদ্ধতি বেছে নেন তিনি!
বৎসল নাহাতা বলেন, সেসময় আমার হাতে কোনো কাজ ছিল না এবং দুই মাসের মধ্যেই আমার স্নাতক শেষ হওয়ার পথে। যেহেতু আমি একজন ‘ইয়েল গ্র্যাজুয়েট’ হবো, তাই নিজেই ভাবছিলাম, এত ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে লাভ কী, যদি একটা চাকরিই নিশ্চিত করতে না পারি! আমার মা-বাবা যখন আমাকে ফোন করে আমার অবস্থা জানতে চাইলেন, তখন এই চিন্তাটা আরও প্রকট হয়ে উঠলো।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম যে আমি কিছুতেই ভারতে ফিরে যাবো না এবং আমার প্রথম বেতন হবে ডলারেই। এরপর আমি বিভিন্নভাবে নেটওয়ার্কিং করতে লাগলাম এবং চাকরির পোর্টালে আবেদন করার চিন্তা বাদ দিয়ে দিলাম।
বৎসল নাহাতা আরও জানান, পরে দুই মাসে তিনি ১৫০০ ‘কানেকশন রিকোয়েস্ট’ পাঠিয়েছেন, ৬০০ ইমেইল লিখেছেন, ৮০টি ফোন কল করেছেন এবং অসংখ্যবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। এমনকি ২০১০ সালের সিনেমা ‘দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক’-এর ‘দ্য জেন্টল হাম অব অ্যাংজাইটি’ ইউটিউবে তার সবচেয়ে বেশিবার বাজানো গান হয়ে দাঁড়িয়েছিল!