দেশে ডলার বাজারে অস্থিতিশীলতার জেরে দেশি–বিদেশি ছয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ব্যাখ্যা তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক ছয়টি হলো দেশীয় ডাচ্–বাংলা, সাউথ ইস্ট, প্রাইম, দি
সিটি, ব্র্যাক ও বিদেশি খাতের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
বুধবার ব্যাংকগুলোর এমডিদের এই চিঠি দেওয়া হয়। এর আগে এসব ব্যাংকের ট্রেজারিপ্রধানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী
পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ছয় এমডিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কারা দায়ী, তা জানাতে বলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে এই ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের
প্রধানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মার্কিন ডলারের বাজার অস্থিতিশীল করে অতিরিক্ত মুনাফা করায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এদিকে, এসব ব্যাংকের ডলার কেনাবেচার তথ্য পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, কোনো কোনো ব্যাংক ডলার কেনাবেচা করে এক মাসে ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা করেছে। যার মাধ্যমে
ডলারের বাজারকে আরও অস্থিতিশীল করে তোলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সামনে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত মে মাস থেকে দেশে ডলারের সংকট চলছে। আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়া ও রপ্তানি ও প্রবাসী আয় দিয়ে আমদানি দায় শোধ করা যাচ্ছে না। এ কারণে বেড়ে গেছে ডলারের দাম।
বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম এই সময়ে ৮৬ থেকে ৯৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। তবে ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয় আনছে ১০৬ থেকে ১০৭ টাকায়। আমদানিকারকদের কাছে প্রতি ডলারের জন্য ১০৩
থেকে ১০৪ টাকা নিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এখন ব্যাংকগুলোর ডলার কেনাবেচায় সর্বোচ্চ ১ টাকা পার্থক্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।