পটুয়াখালীর নিউ মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে অন্তত ৮০টি দোকান ভষ্মিভূত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক এবিএম মোন্তাজ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, গত ৭ অক্টোবর ২০২১ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নিউ মার্কেট এলাকায় আগুণের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে তাদের ৬টি ইউনিট গিয়ে দু’ঘন্টার চেষ্টায় আগুণ নিয়ন্ত্রনে আনে।
কিন্তু ততক্ষনে মুদি, মনোহরি, হার্ডওয়ার, ক্রোকারিজ, স্টেশনারীসহ বিভিন্ন পন্যের দোকান, চালের আড়ৎ এবং অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে যায়। পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, অগ্নিকান্ডে হতাহতের কোন খবর তারা পাননি। নিউ মার্কেটের উত্তর পূর্ব দিক থেকে আগুণের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানালেও কীভাবে সেখানে আগুণ লাগলো সে বিষয়ে কোন ধারণা দিতে পারেন নি ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মোন্তাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, অগ্নিকান্ডের এ ঘটানায় তার একটি তদন্ত কমিটি করবেন।
সেই কমিটি আগুণ লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরূপন করবে। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা অগ্নিকান্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মনোহরি দোকানের মালিক স্বপন সাহা (৫০) সর্বস্ব হারিয়ে মানবেতর জীবন পার করছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৭ অক্টোবর ভোর রাতে পটুয়াখালীর নিউ মার্কেটে স্বপন সাহার একটি মনোহরী দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। স্বপন সাহা হচ্ছেন পটুয়াখালী পৌরসভার পুরান বাজার বণিক পট্টি এলাকার মৃত জগদীশ সাহার ছেলে।
তার স্ত্রী বেবি রানী সাহা ও ২ কন্যা সন্তান নিয়ে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। স্বপন সাহা জানান একমাত্র সম্বল বলতে আমার মনোহরি দোকান। সেটি আগুণে পুড়ে যাওয়ায় আমার সঞ্চিত সকল অর্থ হারিয়ে গিয়ে আমি এখন পথে বসে গেলাম। তার স্ত্রী বেবি রানী সাহা জানান, আমার স্বামীর মনোহরী দোকানে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আগুনে দোকানের সব কিছু পুরে গেলে প্রতিবেশীরা আমাদের খাবার দিচ্ছে। আমার দুই মেয়ের পড়ালেখা প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, পটুয়াখালীর সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। যাতে আমরা বেঁচে থাকার সম্বল আবার ফিরে পেতে পারি। সবার কাছে আর্থিক সহায়তা পেলে আবারো আমরা ঘুরে দাড়াতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।
০১৭২৪১৪০৩৩৭