এক ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলছিল সাগর নামের এক যুবক।ফাহিম নামের অন্য এক যুবক বিষয়টি দেখতে পেয়ে সাগরের সঙ্গে বাকবিণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তাদের দু জনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে বিষয়টি সমাধান করে দেয়। এ ঘটনায় বেলা ১১টা ও সাড়ে ১২টার দিকে ওই দুই যুবক লোকজন নিয়ে পুনরায় বাজারে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নে তুচ্ছ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ার মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিন দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সেনবাগ থানার এএসআই সমর বড়ুয়া’সহ উভয় পক্ষের ১৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, মান্দারকান্দি গ্রামের শরুত ভূঁইয়া বাড়ির সাগরের সাথে একটি মেয়র সাথে কথা বলা নিয়ে বাকবিণ্ডায় জড়ায় পশ্চিম দক্ষিণ পাড়ার আজগর আলী বেপারী বাড়ির ফাহিম । এক পর্যায়ে তাদের দু জনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে এ সংঘর্ষ দুই পাড়ার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অন্যের ওপর হামলা চালায় ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। খবর পেয়ে সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৬ ও সংঘর্ষকারীদের ইটের আঘাতে এএসআই সমর বড়ুয়া আহত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাগর ও ফাহিম দুইজনই ওই ছাত্রীকে পছন্দ করে এমনটা ধারণা করছে স্থানীয় লোকজন।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের আটক করা হবে।