সিরাজগঞ্জের চলনবিল এলাকার উল্লাপাড়ায় বিস্তৃর্ণ জমিতে আলুর বাম্পার ফলনে চাষিরা বেজায় খুশি। কিন্তু আলু তোলার ভরা মৌসুমে দাম না পেয়ে তারা কিছুটা হতাশ হয়ে পরেছে বলে জানা যায়।
উল্লাপাড়া উপজেলার খাদ্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত চলনবিল অধ্যুষিত এলাকায় হিসেবে রয়েছে ধুনিয়া ইউনিয়ন, পাঙ্গাসী ইউনিয়ন, মোহনপুর ইউনিয়ন। এছাড়াও উপজেলার প্রায় এলাকায় আলুর চাষ হয়ে থাকে। এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে এখন শুরু হয়েছে আলু উত্তোলনের কাজ।
আলুর দাম নিয়ে চাষিরা জানান, আলুর বাম্পার ফলন হওয়া স্বত্বেও দাম কম নয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। যেমন ফলন হয়েছে তেমন যদি বাজারে দাম পেত তাইলে কৃষকরা লাভবান হতো। আলু রোপণের সময় বীজ ক্রয় করা হয়েছে ৪২ টাকা কেজি দরে।
আর সেই আলু বাজারে এখন ১০ টাকা থেকে ১২ টাকা কেজি, যার ১ মন আলু ৪০০ টাকা থেকে ৪৪০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে কৃষকদের লাভের আশা তো দূরের কথা উৎপাদন খরচ তুলতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমি জানান, এ মৌসুমে উপজেলায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ৯৫০ হেক্টর জমিতে। এবারে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার মেট্রিক টন। প্রতিবছরের চেয়ে এ বছর আলুর ফলন বেশ ভালো হয়েছে। তবে বাজারে এখন দাম কম তাই কৃষকরা কিছুটা হতাশ।
তিনি আরও জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আলু বাড়িতে মজুদ রাখার নানা পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করা যায় ১৫ দিন থেকে ১ মাসে মধ্যে আলুর দাম বৃদ্ধি হবে।