পেঁয়াজের সঙ্গে এবার অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বস্তা প্রতি চালের দাম বেড়েছে ২শ থেকে তিনশো টাকা পর্যন্ত। পাশাপাশি-পেয়াজের দাম এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এমন অবস্থায়- অসহায় সাধারণ ক্রেতারা। দফায় দফায় চালের দাম বাড়াতে বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা।
এমনিতেই পেয়াজের দাম উর্ধগতি। যাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারন ক্রেতারা। এক মাস আগে যে পেয়াজের দাম ছিল ৩০ টাকা কেজি, এখন সেই পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসে পেয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা পর্যন্ত।
পেয়াজের এমন ঝাজের মধ্যেই স্বস্তি নেই চালের বাজার। চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও সব ধরনের চালের দাম বাড়তি। মোটা সিদ্ধ ও মিনিকেট আতপ চালের দাম বস্তা প্রতি বেড়েছে ৩০০ টাকা ।একই সাথে বেড়েছে মিনিকেট সিদ্ধ, দিনাজপুরী পাইজাম, নাজিরশাইল সিদ্ধসহ সব ধরনের চালের দাম ।
খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা । ৫০ টাকার নিচে চাল পাওয়ায় কঠিন হওয়ায় বড় বিপাকে ক্রেতারা।
রাজধানীর বাজারেও প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা। সিন্ডিকেটের কারনেই এমনটা হচ্ছে বলে মত খুচরা বিক্রেতাদের।
এমন অবস্থায় পাইকাররা বলছেন,উত্তরবঙ্গের মোকামগুলোতে চালের দর বেড়ে যাওয়া আবারো অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার । আর উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীরা বলছেন- এবার ধান কম হওয়ার কারনেই চালের দাম বাড়তি।
তবে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে উত্তরবঙ্গের চালের মোকামগুলোতে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর ওপর জোর তাগিদ দিলেন ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা ।
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন দ্রুত কার্য কর পদক্ষেপ নেবে এমন দাবি ভোক্তাদের। একইসঙ্গে- নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর দাবি তাদের।