বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ১১তম প্রয়াণ দিবস আজ। ২০০৯ সালে এই দিনে পরপারে পাড়ি জমান সুর সাধক। প্রতিবছর নানা অনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে আব্দুল করিমের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হলেও এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে তা হচ্ছে না।
পারিবারিক- ঘরোয়া আয়োজনের মধ্যেই সংগীত মহাজনকে স্মরণ করছেন ভক্ত- অনুরাগীরা। ১৯১৬ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে জন্ম নেন শাহ আব্দুল করিম।
পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে পড়ালেখার সুযোগ হয়নি আব্দুল করিমের। তবে, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়েও করিম ছিলেন স্বশিক্ষিত। প্রতিদিনের জীবন, জাগতিক দুঃখ, প্রেম ভালোবাসাকে আপন মহিমায় তুলে ধরেছেন তার বাউল গানে।
ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন স্বাধিকার আন্দোলনে বাউল সম্রাটের গান বাঙ্গালীকে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে। মরমী গান আর হৃদয়ছোঁয়া সুর তাকে হাওরের রাখাল বালক থেকে বাউল সম্রাটের আসনে সমাদৃত করেছে। তিনি পেয়েছেন একুশে পদক।
২০০৯ সালের ১২ ই সেপ্টেম্বর পরপারে পাড়ি জমান বাউল সম্রাট। করোনা পরিস্থিতিতে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী ঘিরে গ্রামের বাড়িতে তেমন কোন আয়োজন নেই।
সুনামগঞ্জ জেলা শিল্প কলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জরুল পাভেল জানিয়েছেন বাউল সম্রাটের বাড়িতে নির্মাণাধীন স্মৃতি জাদুঘরটির কাজ দ্রুতই শেষ করা হবে।
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, বসন্ত বাতাসে সইগো, তুমিও মানুষ আমি মানুষ, এর মতো অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম।