
পটুয়াখালীর দশমিনায় মৌসুমী আক্তার (৩২) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে উপজেলার নলখোলা বন্দরের ভাড়া বাসা থেকে ওই গৃহবধূকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন তার স্বামী। তিনি উপজেলা বহরমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগের দ্বিতীয় স্ত্রী।
এ ঘটনায় পরিবার দাবি করেছেন, চেয়ারম্যান তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগ তার দ্বিতীয় স্ত্রী মৌসুমী আক্তারকে নিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম শানুর বহুতর ভবনের ৫ম তলায় ভাড়া থাকতেন। মো. কিরন নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি চেয়ারম্যানকে নিয়ে বহরমপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দশমিনা সদরের নলখোলা বন্দরের ভাড়া বাসায় চেয়ারম্যানের সাথে ওই বাসায় যান।
সেখানে দড়জা খোলা দেখে বাসায় তিনি চেয়ারম্যানের সাথে প্রবেশ করেন এবং বাথরুমের দড়জা ভেঙে চেয়ারম্যানের স্ত্রী মৌসুমীকে চেয়ারম্যানসহ তিনি গলায় ওড়না প্যাচানো ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে দশমিনা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মৌসুমীর ভাই মো. মনিরুজ্জামান বিপ্লব অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগ প্রায় সময় মাদক সেবন করে তার স্ত্রী মৌসুমীকে মারধর করতেন। চেয়ারম্যানের পরিবারের ক্ষমতার কাছে তারা দুর্বল। চেয়ারম্যানের চাচা উপজেলা চেয়ারম্যান (আবদুল আজীজ) হওয়ায় পুলিশ কোনো কিছু কর্ণপাত করেনা (আগে মারধরের ঘটনায় পুলিশের কাছে বিচার চাইলে)। চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগ তার বোনকে মেরে ফেলতে পারেন। তিনি তদন্ত করে সঠিক বিচার প্রার্থনা করেন।
এবিষয়ে দশমিনা থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। কোনো অভিযোগ পাইনি। ময়না তদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।